হাদীস অস্বীকারের ফিতনা নতুন কিছু নয়, সাহাবায়ে কেরামদের যুগেই এই ফিতনা ছিল।
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রা.-এর কাছে একবার একলোক এসে বলল, আমাকে শুধু কুরআন থেকে আলোচনা করে শোনান, অন্য কিছু শুনব না। তখন ইমরান রা. তাকে বললেন, বেটা নির্বোধ! তুমি যে জোহরের নামাজের চার রাকাতে নিম্নস্বরে কেরাত পড়ো, এটা কুরআনুল কারীমের কোথাও পাবে?
এরপর তাকে নামাজ, জাকাত ইত্যাদি বিভিন্ন আহকামের কথা উল্লেখ করে বললেন, এগুলো কি তুমি কিতাবুল্লাহর মধ্যে বিস্তারিত আকারে পাবে? কুরআনুল কারীম এসব ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেনি, কিন্তু সুন্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো বিস্তারিতভাবে বলে দিয়েছে। (জামিউ বয়ানিল ইলমি ওয়া ফাযলিহি, ২৩৪৮)
অধুনা এই ফিতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মারাত্মকভাবে। কিছু সুবিধাবাদী ধর্মজ্ঞানহীন লোক এই ফিতনায় আরও জ্বালানির জোগান দিচ্ছে। পাশাপাশি শিয়া ও খাওয়ারিজ সম্প্রদায় তো বহু আগে থেকেই এই ফিতনার মূল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এই বিষয়ে বাংলা ভাষায় এখনো তেমন পর্যাপ্ত কাজ না আসলেও আরবি-উর্দুতে পর্যাপ্ত কাজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এই বিষয়ে গত বছর থেকে একাধিক কিতাব পড়লেও বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সংক্ষেপে দারুণ লেগেছে। ছোট কলেবরের গ্রন্থটি অত্যন্ত সাজানো-গোছানো ও ধারাবাহিকভাবে লেখা হয়েছে। এই ফিতনার গোড়া থেকে শুরু করে মুনকিরিনে হাদীসের বড় বড় আপত্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত দলিলভিত্তিক জবাবও লেখা হয়েছে। এক বসায় পড়ার মতো বই। টের পাওয়ার আগে বই শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.