রমাদানে সিয়াম-কিয়াম ও তিলাওয়াতের পর ঈদুল ফিতর আমাদের জন্য শুধু খুশির বার্তা নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের এক মহৎ উপলক্ষ হিসেবে আগমন করে। ঈদের ছুটি যেন শুধু আনন্দ-উল্লাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং আমরা যেন এই দিনগুলোকে ভালো কাজের মাধ্যমে উদযাপন করতে পারি।
বিশেষ এই সংখ্যার প্রায় সবগুলো লেখাই ঈদকেন্দ্রিক। তবে প্রতিটি লেখার ধরন ও আবেদন ভিন্ন। কোনো লেখায় হয়তো ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহগুলো আলোচনা করা হয়েছে। কোনো লেখায় বাংলা ভূখণ্ডে ঈদ উৎসবের ইতিহাস উঠে এসেছে। কোনোটায় সীরাতে নববী থেকে ঈদের টুকরো ঘটনা বলা হয়েছে। কোথাও হয়তো ঈদের সেরা টপিক সালামি নিয়ে আলোচনা এসেছে। কার কাছ থেকে কীভাবে সালামি আদায় করতে হবে সেটা নিয়ে স্বপ্নে পাওয়া(!) কৌশল বাতলে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে ছেলেদের পাঁগড়ি বাঁধা ও মেয়েদের মেহেদী রাঙার নিয়ম। রয়েছে মহাকাশে ঈদ উদযাপনের মজার ঘটনা। আরও রয়েছে ঈদের পর পড়াশোনায় মনোযোগ ফেরানোর নিনজা টেকনিক এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে ঈদ উদ্যাপনের নিদারুণ কষ্টের গল্প।
এ তো গেল ব্যক্তিগত ঈদ আনন্দের কাহিনি। কিন্তু ঈদ কি শুধু ব্যক্তিগত খুশির মধ্যেই সীমাবদ্ধ? বরং ঈদ হতে পারে সামাজিক পরিবর্তনের একটি মাধ্যম। অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, ইয়াতীম ও দুস্থ শিশুদের ঈদের আনন্দে শামিল করা, সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া—এসবও ঈদের শিক্ষার অংশ। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঈদকে ঘিরে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও ক্যাম্পেইন করতে পারো।
এই ঈদ সংখ্যা সাজানো হয়েছে ঈদের আনন্দ, সুন্নাহ, ইতিহাস ও সামাজিক দায়িত্বশীলতার মিশেলে। আমরা আশা করি, এই সংখ্যা পড়ার মাধ্যমে ঈদের প্রকৃত সৌন্দর্য ও আনন্দ ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ। তোমাদের সবাইকে ঈদ মুবারক!
Reviews
There are no reviews yet.