১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সাল। ইতিহাসে এই চারটি বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চার বছরের চার শরতে ইন্টারফেইথ নামক বিষবৃক্ষটা লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে। ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অব চার্চস এবং সেকেন্ড ভ্যাটিকান কাউন্সিল, এই দুটো লালাগ্রন্থি থেকে আহার্য নিয়ে বেড়ে ওঠে ইন্টারফেইথ। পরিণত হয় এক প্রকাণ্ড বিষবৃক্ষে।
কোনো জিনিসের স্বরূপ না জানলে তার ভয়াবহতার পরিমাণ জানাও অসম্ভব। ইন্টারফেইথ ঠিক কতটা ভয়াবহ, তা জানতে হলে ইন্টারফেইথের স্বরূপ জানাও জরুরি। আমাদের এ গ্রন্থ পাঠে একজন পাঠক ইন্টারফেইথের স্বরূপও জানতে পারবে, এর ভয়াবহতাও জানতে পারবে। বই একটিই, কিন্তু তা দুটি বই পাঠের কাজ দেবে।
শরয়ি দলিলের কোন কোন জায়গায় অপব্যাখ্যার কারণে ইন্টারফেইথের দরজাটা খুলে যায়, তার চমৎকার ব্যবচ্ছেদ সাজিয়ে রাখা আছে এ গ্রন্থে। যেসব ‘স্কলার’ ইসলামি নাম ধারণ করে এ অপব্যাখ্যার দুয়ার খুলেছে, তাদের মুখোশটাও উন্মোচিত হয়েছে। ইন্টারফেইথের সূচনা, তত্ত্ব ও ভিশন স্পষ্ট করার পাশাপাশি আমরা কীভাবে এ বিষ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারব, তার সুবিন্যস্ত ও সাজানো রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে আমাদের এ গ্রন্থে। আপনার ইন্টারফেইথযাত্রা শুভ হোক।
Reviews
There are no reviews yet.