الإتحاف-আল ইতহাফ- (১ম ও ২য় খণ্ড)

ফিকহে হানাফীর মাসায়িলের একটি সংক্ষিপ্ত, সুবিন্যস্ত এবং কার্যকর সংকলন হিসেবে।
“আল-ইতহাফ” কিতাবটি তালিবে ইলমদের জন্য একটি অমূল্য তোহফা। এই কিতাবকে উত্তম তোহফা মনে হওয়ার কারণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

১. মাসআলার তারতীব ও পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝার সহায়ক ফিকহে দক্ষতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো প্রতিটি মাসআলার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং তারতীব বোঝা। “আল-ইতহাফ” কিতাবটি এমনভাবে রচিত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি অধ্যায়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি সুসংগঠিত গাঁথুনি তৈরি হয়েছে। এতে প্রতিটি অধ্যায়ের মাসাইল তালিবে ইলমদের মনে সংক্ষেপে ও সুস্পষ্টভাবে গেঁথে যাবে।

২. সবসময় কাছে রাখার মত একটি কিতবা
যারা ফিকহের তাখাসসুস পর্যায়ে এমন একটি কিতাব খুঁজছেন, যাতে ফিকহের প্রতিটি শাখার সংক্ষিপ্ত বিবরণ একসাথে পাওয়া যায়, “আল-ইতহাফ” তাদের জন্য উত্তম তোহফা। এটি এমনভাবে রচিত হয়েছে, প্রতিটি বাবের প্রয়োজন মাসআলাগুলো সংক্ষেপে একত্র করা হয়েচে; সহজে বোধগম্য এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে কাঙ্ক্ষিত বিষয় দ্রুত খুঁজে পাওয়ার মতো একটি চমৎকার ব্যবস্থা এতে রয়েছে।

৩. আধুনিক মাসায়েলের সমাধানে সহায়ক
আধুনিক যুগের জটিল মাসায়েলের সমাধান ও তাখরীজের ক্ষেত্রে আগ্রহী তালেবে ইলমদের জন্য এই কিতাবটি একটি মূল্যবান সহায়তা হবে।

৪. দীর্ঘ দিনের মেহনত ও অধ্যবসায়ের ফসল
“আল-ইতহাফ” কিতাবটি লেখকের দীর্ঘ দিনের অধ্যয়ন ও পরিশ্রমের ফল। এটি রচনার পর বহুবার সম্পাদনা করা হয়েছে, পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে এবং দরসে পড়ানো হয়েছে। এই পরিশ্রমের ছাপ কিতাবটির প্রতিটি পাতায় দৃশ্যমান। যদিও কোথাও কারও মতভেদ থাকতে পারে, তবুও এই মেহনত ও অধ্যবসায়ের ছাপ প্রত্যেক পাঠকই উপলব্ধি করবে।

৫. ফিকহ অধ্যয়নের গঠনমূলক ভূমিকা
কিতাবটির শুরুতে ফিকহ অধ্যয়নের পদ্ধতি ও ফিকহী দক্ষতা অর্জনের বিষয়ে একটি গঠনমূলক ভূমিকা উপস্থাপন করা হয়েছে। এর আলোকে কিতাবটি অধ্যয়ন করলে একজন তালিবে ইলমের মধ্যে ফিকহী দক্ষতা (মালাকাহ ফিকহী) গড়ে উঠবে। ফিকহীয়াতের সাথে একটি মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সখ্যতা তৈরি হবে। সেইসঙ্গে তাখরীজে ফিকহীর ভিত্তি মজবুত হবে।

পরিশেষে, “আল-ইতহাফ” কিতাবটি ফিকহ অধ্যয়নে আগ্রহী প্রতিটি তালিবে ইলম এবং গবেষকের জন্য একটি চমৎকার উপহার। এটি তাদের জ্ঞানচর্চা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পথে একটি সার্থক সঙ্গী হবে। আল্লাহ লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন এবং কিতাবটি উম্মাহর জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণকর করে তুলুন।

-বান্দা আবদুল্লাহ নাজীব